জেনারেলাইজেশন, নরমালাইজেশন, পপুলেশন, স্যাম্পল এবং চিন্তাভাবনায় এগুলোর প্রভাব
আমাদের ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স এবং তদুপরি চিন্তাধারাগুলোও কিছু গাণিতিক নিয়ম মেনে চলে। আরও ভালোভাবে বললে স্ট্যাটিস্টিক্যাল নিয়মকানুন।
একক ব্যক্তির চিন্তায় হয় কোনো বিষয়ে নরমালাইজেশন কিংবা জেনারেলাইজেশন অনেক বেশি পরিমানে দেখা যায়। যেমন x বিজ্ঞান ভালোবাসে, y শিল্পকলা।
সেদিন এক কাছের বন্ধু বলছিলো কসমোলজি নিয়ে পড়াশোনা করে সময় নষ্ট না করে আইটি রিলেটেড বিষয়গুলাই চর্চা করা উচিৎ। কারণ হিসেবে দেখালো এটা আমার পেশা। কসমোলজি নয়। আইটি আমাকে টাকা দেয়, কসমোলজি নয়। কিন্তু সে এবং তার গার্লফ্রেন্ড (বর্তামান বউ) ভার্সিটিতে থিসিসে এ+ পাইছিলো আমার এই কসমোলজি আর আইটির মিশ্রণের কারণেই।
আমরা আমাদের চিন্তাভাবনাগুলোকে ক্রমাগত নকল করি। মিউটেশনের মতো।
সিমুলেশন। সিমুলেশন কথাটির অর্থ হচ্ছে নকল। এই সিমুলেশনের অনেকটা অংশই স্ট্যাটিস্টিক্স নির্ভর। একটা অবজেক্টের প্রসেস বা প্রোপার্টি নকল করতে হলে অবশ্যই তার বিহেভিয়রাল এনালাইসিস বা ইতিহাস জানতে হবে। কিন্তু সিমুলেশন এবং কপি করার মাঝে কিঞ্চিৎ পার্থক্য আছে। সিমুলেশন হচ্ছে মিউটেশনের মতো। নতুন অনেককিছু প্রোব্যালিস্টিক পাওয়া যায় এবং সিমুলেশন করাও হয় এই উদ্দেশ্যে।
হুবহু সব অবজেক্টের সব প্রোপার্টি এবং বিহেভিয়ার জানা সম্ভব নয় বলে সিমুলেশন একটা বড়ো হাতিয়ার। কিন্তু সিমুলেশনও প্রোপার ইনপুট ডাটা ছাড়া কাজের না। এই ডাটাগুলো সংগ্রহ করা হয় কোথা থেকে? স্যাম্পল। কোনো এক জাতীয় টেস্ট সাবজেক্টের সকল মেম্বারের সমষ্টি হচ্ছে পপুলেশন আর সেই পপুলেশনের প্রতিনিধিত্বকারী ক্ষুদ্র অংশই হচ্ছে স্যাম্পল। আর এই স্যাম্পলটুকুই পুরো পপুলেশনকে জেনারেলাইজ বা নরমালাইজ করে। স্যাম্পলিং করার অনেক সিউডো-র্যান্ডমিক টেকনিক আছে। সে ভিন্ন বিষয়।
এবার আসি চিন্তাধারায় জেনারেলাইজেশন, নরমালাইজেশন এর প্রভাব এবং পুরো বিষয়টার গণিতে।
ধরা যাক গ্রীস থেকে বাংলাদেশে এক নারী ঘুরতে আসলো। এয়ারপোর্ট পার হতেই দেখে তার হাতব্যাগ হাওয়া। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু এরপর তার ফোনটাও কেউ একজন বাইক দিয়ে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো। এটাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
কিন্তু তারকাছে নয়। তারকাছে মনে হবে এই দেশটা এরকমই, চোর চামারে ভরা।
কারণ? বাঙালী পপুলেশনের যেই স্যাম্পল সে এক্সপেরিয়েন্স করলো তার ভিত্তিতেই পুরো পপুলেশনকেই জেনারেলাইজ করবে। এবং এটা অতি স্বাভাবিক।
একটা কুয়ার ব্যাঙের কাছে কুয়াই তার মহাবিশ্ব। সে মহাসাগরের খোঁজ রাখেনা, মহাকাশের খোঁজও রাখেনা। হয়তো রাখা সম্ভবও না। কুয়াই পুরা মহাবিশ্ব এই ধারণা নিয়েই হয়তো ব্যাঙ তার পুরো জীবন অতিবাহিত করবে প্রোপার ইনপুট ডাটার অভাবে।
যাইহোক, ইনপুট বাইরে থেকে আসে।