Logo

SMJ

Follow Me on Twitter Visit My GitHub Profile Subscribe to My YouTube Channel Open Navigation Menu

আমাদের সুপরিচিত দুইটি মহান তত্ত্ব হয়তোবা ভুল

Written on
Updated on

হ্যাঁ। হয়তোবা অনেকেই বুঝে ফেলেছেন যে আমি ঠিক কাদের কথা বলছিঃ আপেক্ষিক তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম তত্ত্ব।

এই দুয়ের অন্তত একটি সঠিক নয়। অন্তত কিছু সংস্কার বা পরিমার্জন প্রয়োজন।

কিন্তু... এরা তো বহুল পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত!

হ্যাঁ। তা ঠিক। এরা এককভাবে পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত দুইটি তত্ত্ব। যাদের উপর পুরো পদার্থবিজ্ঞান দাঁড়িয়ে আছে।

তাহলে সমস্যা?

ভাই থামেন! আর কতো এক ঢোল পেটাবেন? হহুদিন থেকেই এই দুইজনকে এক করার অনেক চেষ্টা চরিত্র তো করলেন। কোনো লাভ হলো?

আরে ভাই ধৈর্য্য! এক মরা গাধাকে যতোই পেটান সে উঠবেনা।আগে তো মানতে হবে যে আপনার সাধের গাধাটি বহু আগেই মারা গেছে।

মানে?

আচ্ছা আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, মানে আপনারা জেনে থাকবেন যে সাধারণ আপেক্ষিকতা মহাকর্ষের স্বরুপ ব্যাখ্যা করে খুব সুনিপুণ হাতে। কিন্তু এনার হাতে অন্য তিন বলের ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা নেই। অবধারিতভাবেই বুঝা যাচ্ছে যে ইনি অসম্পূর্ণ, অবিবাহিত।
কিন্তু সবাই যদি একই ক্যাটাগরির হয় তাহলেতো হালকা একটু কষ্ট করলেই ওই তিন অবাধ্যকে বাগে আনা যায়। তাই নয়কি?

ভাইজান, চিন্তাভাবনা বদলান। কিভাবে বুঝলেন যে এরা সবাই একই ক্যাটাগরির?

এহ! সোজা! এরা চারজনই "বল" সুতরাং এরা চারভাই। একই মায়ের পেটের চারভাই।

এইখানেই তো মারাটা খেয়ে বসে আছেন। শোনেন, আপেক্ষিকতায় "বল" এর কোনো ধারণা নাই। মানে সে কোয়ান্টামের জুতায় চলছেনা। তাই কোয়ান্টামের দুঃখ বুঝছেনা। ঠিক যেমন কোয়ানটাম আপেক্ষিকতার জুতায় চলছেনা, তাই আপেক্ষিকতার দুঃখ বুঝছেনা।

যা বলছিলাম। আপেক্ষিকতায় বলের ধারণা নাই। তাহলে মহাকর্ষকে ব্যাখ্যা করে কিভাবে?
আপেক্ষিকতা অনুযায়ী মহাকর্ষ কোনোপ্রকার বল নয়, বরং স্থানকালের বক্রতা। ভারি জিনিস স্থানকালকে বাঁকিয়ে দেয়, আর সেই বাঁকে পড়াই হচ্ছে মহাকর্ষের খপ্পরে পড়া।

আরে ভাই জানি তো।

আপনি জানেন তা তো আমিও জানি। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই বাঁকা বাঁকি ছাড়া আপেক্ষিকতা অন্যকিছু বুঝেনা?
হ্যাঁ! মহাকর্ষ ছাড়া বাঁকি তিন বল অর্থাৎ তড়িৎচুম্বক, দুর্বল এবং সবল নিউক্লিয় বল সম্পর্কে আপেক্ষিকতা কিছু বলেনা।
সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে আপেক্ষিকতা অবিবাহিত, অপূর্ণ।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স আবার এই তিন বলের বিষয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা দেয়। কিন্তু এরও সমস্যা হলো এ আবার বল ছাড়া কিছু বুঝেনা। স্থানকালের ত্যাড়ামো তার বুঝে আসেনা। অর্থাৎ ইনি মহাকর্ষকে ব্যাখ্যা করতে পারেননা। তিনি মনে করেন মহাকর্ষ হলো মেলায় হারিয়ে যাওয়া তার সেই সন্তান, যার ডিএনএ টেস্ট করলেই প্রমাণিত হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো সেই ডিএনএ এর স্যাম্পল (গ্রাভিট্রন) পাওয়া যাচ্ছেনা।

দাঁড়ান তো। ওই তিন ভাইয়ের সাথে তো এই হারিয়ে যাওয়া জনের কোনো মিলই পাওয়া যাচ্ছেনা। এমনও তো হতে পারে যে এরা ভাইই না?

হ্যাঁ। সেটাই বলছিলাম। এরা আসোলেই চারভাই চম্পা নয় (হয়তো)। হয়তো এরা ফান্ডামেন্টালি আলাদা বিষয়। ওই তিন জনকে ইতোমধ্যেই এক করা গেছে। কিন্তু আপাতত মহাকর্ষকে এদের সাথে মেলানোটা তেলে-জলে মেশানোর মতোই মনে হচ্ছে।

তাহলে উপায়?

আমার মনে হয় এরা আসোলেই ফান্ডামেন্টালি আলাদা দুইটা জিনিস। তিনটা বল এবং একটা স্থানকালের বৈশিষ্ট্য।
আর যেহেতু দুইটা তত্ত্ব সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইভাবে এদের ব্যাখ্যা করতে পারছে, হয়তো এরা আলাদাভাবে সঠিক। হয়তো এরা এমনই। হয়তো এদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।
হয়তো!
কিন্তু সমস্যা আছে। বিষয়টা খারাপ দেখানোর পাশাপাশি কিছু যায়গা আছে যেগুলোতে এদের দুইজনের অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরকমই দুইটা যায়গা হলো বিগব্যাং এবং ব্ল্যাকহোল!
জনসম্মুখে এরা একে অপরকে দেখে নাক ছিঁটকালেও ওই দুই যায়গায় গেলেই এরা আর নিজেদের সামাল দিতে পারেনা। মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

তাহলে নাক ছিঁটকায় কেনো?

হয়তো লোকলজ্জায়।

এখন আমাদের কাজ হবে এদের এই অবৈধ সম্পর্ক রুখে দিয়ে ধরে বেঁধে সামাজিক এবং ধর্মীয়ভাবে বিয়ে দিয়ে দেওয়া।

এজন্য কি করতে হবে?

এদের কিঞ্চিৎ শোধরাতে হবে। এদের লজ্জা ভেঙে দিতে হবে।

কিন্তু...

আবার কি?

হয়তো এরা আসোলেই একে অপরের জন্য নয়। হয়তো চোখ সবসময় যা দেখে তা হয়তো সত্য নয়। হয়তো এরা বিগব্যাং এবং ব্ল্যাকহোলের মতো বিপদজনক যায়গাতেও একত্রিত হয়না। হয়তো এরকম প্রতিকূল অবস্থায় মনের মধ্যে একে অপরের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়েও এক হয়ে থাকার ভাণ ধরে। হয়তো, হয়তো না।
কিন্তু এদের এই সিংগেল থাকাটা আমার এই বয়সে সিংগেল থাকার মতোই দৃষ্টিকটু। আমার মতো এদেরও সংশোধন প্রয়োজন!